
সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা ॥
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও পর্যটন শহর টেকনাফে আসা-যাওয়ার একমাত্র কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কটি যেন কাদামাটি ও গর্তের সড়ক। এই মহাসড়কে অন্তত ১৫টি স্থানে পিচের অস্তিত্বই নেই। কাদামাটি আর গর্তে ভরা পথ চলতে চলতে পিচ খুঁজে নিতে হয়। রাস্তায় যানবাহন উল্টাচ্ছে, কাদায় আটকে যাচ্ছে। আর এসব উদ্ধার করা এখন নিয়মিত কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবুও সওজ কর্মকর্তারা নাকে তৈল দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। বারবার একই স্থানে মাল বোঝাই ট্রাক ডেবে গেলেও এসব মেরামতের কেউ না থাকায় প্রতিনিয়ত দূঘর্টনার পাশাপাশি জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর বিকাল ৪টারদিকে রামু হতে ইট বোঝাই ট্রাক (চট্র মেট্রো-ট-১১-৪৬৮২) হ্নীলা বাসষ্টেশন এলাকায় এসে ওভারটেক করার সময় সৃষ্ট খাদে ডেবে যায। চালক অনেক চেষ্টা করে তুলতে না পারায় দীর্ঘ লাইন যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশেষে স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় বিকল্প পথ সৃষ্টি করে যানবাহন যাতায়াত শুরু করে। এরপর যানজট কমতে শুরু করে। এ ব্যাপারে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের হ্নীলা বাসষ্টেশনে দীর্ঘ দিন ধরে বড় বড় গর্ত সুর্ষ্টি হয়েছে। বর্ষা মওসুম পার হলে স্থায়ীভাবে এর সমাধান করার কথা থাকলেও সওজ বিভাগ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিনিয়ত এখানে মালবাহী ট্রাক ফেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরণের ঘটনা মেনে নেয়া যায়না। সওজ কর্মকর্তারা এসব দেখছে না? তারা কি নাকে তৈল দিয়ে ঘুমিয়ে আছে? এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইট বোঝাই ট্রাক উদ্ধারের চেষ্টা চললেও উদ্ধার করতে পারেনি। উলে¬খ্য দীর্ঘদিন যাবত থাইংখালী থেকে হ্নীলা পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার রাস্তায় খানাখন্দে ভরা। এ সড়ক দিয়ে চলাচল এখন যাত্রীদের জন্য বড় দুর্ভোগ আর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। ঘটছে দুর্ঘটনা। হ্নীলা বাসষ্টেশন থেকে থাইংখালী পর্যন্ত গর্তগুলো সংস্কার না হওয়ায় যাবতীয় যানবাহন চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হলেও সংশি¬ষ্ট কতৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা না থাকায় জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পাঠকের মতামত